তুরিন আফরোজের ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়া, জানাল বিশ্ববিদ্যালয়

লেখক:
প্রকাশ: ৫ দিন আগে

ঢাকা, ৪ মে ২০২৫: ডেস্ক রিপোর্ট
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস (UNSW) জানায়, তুরিন আফরোজের নামে কোনো পিএইচডি ডিগ্রি তাদের কাছে নেই। এমনকি তার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী তালিকাতেও কারও উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এই তথ্য প্রকাশ্যে আসে রোববার (৪ মে) আপিল বিভাগে উত্তরার বাড়ি-সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিকালে। এ সময় আদালতে বিষয়টি উপস্থাপন করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হায়দার।

এর আগে ১৩ মার্চ আদালতে শুনানিতে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক বলেন, প্রসিকিউটর থাকাকালে তুরিন আফরোজ ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং এক পর্যায়ে তার মাকে নিজ বাসা থেকে বের করে দেন। বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। উল্লেখ্য, রাজধানীর উত্তরার রেসিডেনশিয়াল মডেল টাউনের ১১ নম্বর সড়কের ১৫ নম্বর প্লটের পাঁচতলা বাড়ি নিয়ে তুরিন আফরোজ ও তার মা শামসুন্নাহার বেগম এবং ভাই শাহনেওয়াজ আহমেদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

২০১৮ সালে দখল সংক্রান্ত বিরোধে বিচারিক আদালত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়। কিন্তু ২০২৩ সালের মার্চে হাইকোর্টে সিভিল রিভিশন দায়ের হলে বিচারপতি মো. সেলিমের একক বেঞ্চ ২০২৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি স্থিতাবস্থা বাতিল করে রুল যথাযথ ঘোষণা করেন। এর ফলে শামসুন্নাহার বেগম ও তার ছেলে শাহনেওয়াজ আহমেদের ওই বাড়িতে বসবাসে আর কোনো আইনি বাধা রইল না।

উত্তরার বাড়িটির মালিকানা নিয়েও দুই পক্ষের ভিন্ন দাবি রয়েছে। তুরিন আফরোজ আদালতে বলেন, ১৯৯৪ সালে তার বাবা তসলিম উদ্দিন তাকে হেবা দলিলের মাধ্যমে সম্পত্তি দেন। তবে তার মা ও ভাই আদালতে লিখিতভাবে দাবি করেছেন, তসলিম উদ্দিন কখনও হেবা দেননি, বরং ১৯৯৭ সালে শামসুন্নাহার বেগম নিজে ছেলে শাহনেওয়াজকে সম্পত্তি হেবা করেন এবং পরে নামজারিও সম্পন্ন হয়। বর্তমানে বাড়ির ভোগদখল ও মালিকানা নিয়ে দায়ের করা দুটি দেওয়ানি মামলা বিচারিক আদালতে চলমান রয়েছে।