‘মুলা না বোতল’ নিয়ে তোলপাড়, জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে দীপ্তির স্লোগান 

লেখক: নাজমুল রনি
প্রকাশ: ২ সপ্তাহ আগে

ঢাকা, ১৬ মে:

আবাসন সংকটসহ চার দফা দাবিতে রাজপথে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হঠাৎ এক মোড় নেয়, যখন টেলিভিশন উপস্থাপিকা ও জবির নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী দীপ্তি চৌধুরী কাকরাইল মোড়ে আয়োজিত গণঅনশনে উপস্থিত হয়ে উত্তেজক ও বিতর্কিত স্লোগান দেন—“মুলা না বোতল”।

স্লোগানটি মুহূর্তেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবনসংকট ও আবাসন দাবির আন্দোলনের মঞ্চে এমন স্লোগান নিয়ে উঠেছে প্রশ্নের ঝড়। অনেকেই বলছেন, এই স্লোগান সরাসরি যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ, যা শুধু আন্দোলনের সঠিক বার্তা বিলুপ্ত করে দেয় না, বরং বিষয়টিকে কৌতুক ও অশালীনতার পর্যায়ে নিয়ে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনে এমন ভাষার ব্যবহারকে কেউ কেউ দেখছেন ‘উত্তেজক কৌশল’ হিসেবে, কেউ বলছেন এটি আন্দোলনের প্রতি চরম দায়িত্বহীনতা ও বেফাঁস বাগ্মীতার বহিঃপ্রকাশ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে অনেকে লিখেছেন,
“আবাসনের দাবি যৌক্তিক, কিন্তু এই ধরনের স্লোগানে তা বিকৃত হচ্ছে”,
“আন্দোলন না হয়ে যেন নাটকীয় শো”,
“এই স্লোগানে কাদের আকর্ষণ করতে চান দীপ্তি?”

যৌন সুড়সুড়িমূলক শব্দচয়ন যে শুধু আন্দোলনের গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করে তা নয়, বরং গণসংহতির বদলে সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি ও নিন্দার।

অন্যদিকে দীপ্তি চৌধুরীর অনুসারীরা বলছেন, এটি ছিল প্রতীকী প্রতিবাদ, যেখানে ‘মুলা’ ও ‘বোতল’ ব্যবহার করে ভূমিদস্যু ও প্রশাসনিক উদাসীনতার বিরুদ্ধে রূপক ভাষায় আঘাত করা হয়েছে।

তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, “এমন রূপক যদি যৌনতাকে কেন্দ্র করে হয়, তাহলে তা গণআন্দোলনের ভাষা হতে পারে না।”

আবাসন সংকট যেমন বাস্তব, তেমনি আন্দোলনের ভাষাও হওয়া উচিত যুক্তিবোধ, শালীনতা ও দায়িত্বশীলতার প্রতিচ্ছবি—এমনটাই বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক ও সচেতন নাগরিক।