ঈদ মানেই আনন্দ, উৎসব ও নতুন পোশাকের রঙিন উদযাপন। তবে ঈদের পোশাক কেমন হওয়া উচিত—এই প্রশ্নে অনেকেই যেমন ফ্যাশনের দিকে ঝুঁকছেন, তেমনি অনেকে শালীনতা ও ইসলামি রুচির বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন। ফলে চলতি ঈদ মৌসুমে পোশাকে দেখা যাচ্ছে স্টাইল ও শালীনতার মেলবন্ধন।
ঢাকার নিউ মার্কেট ও চট্টগ্রামের রেয়াজউদ্দিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তরুণ-তরুণীরা ট্রেন্ডি পোশাকের পাশাপাশি এখন ইসলামি আদর্শের পোশাকের প্রতি বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বিশেষ করে হিজাব, আবায়া, পাঞ্জাবি, কুর্তি ও লুজ ফিটিং ড্রেসের চাহিদা বেড়েছে।
চট্টগ্রামের পোশাক ব্যবসায়ী শাহেদুল ইসলাম জানান, “এই ঈদে আমরা ‘মডেস্ট ফ্যাশন’-এর ওপর বেশি জোর দিয়েছি। গ্রাহকেরাও এমন পোশাক চাইছেন যা দেখতে সুন্দর, পরতেও আরামদায়ক এবং ইসলামি মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।”
বিশিষ্ট ফ্যাশন ডিজাইনার নাজনীন আফরোজ বলেন, “ঈদের পোশাক মানে শুধু বাহারি ডিজাইন নয়, বরং সেটি যেন ব্যবহারকারীর সংস্কৃতি, ধর্ম ও শালীনতাকেও তুলে ধরে। মুসলিমদের জন্য পোশাক এমন হওয়া উচিত যা দৃষ্টি আকর্ষণ করে সৌন্দর্য দিয়ে, উদ্ভটতা দিয়ে নয়।”
ধর্মীয় আলোচক হাফেজ মাওলানা রাশেদুল ইসলাম বলেন, “ইসলামে পোশাকের উদ্দেশ্য শরীর ঢেকে রাখা ও সম্মান রক্ষা করা। ঈদের পোশাকও এই নীতির বাইরে হওয়া উচিত নয়। অনেকে পোশাকের নামে অশালীনতা ছড়ায়—এটি ঈদের পবিত্রতা নষ্ট করে।”
অন্যদিকে, তরুণ প্রজন্মের অনেকেই বলছেন, এখনকার অনেক ব্র্যান্ড ও ডিজাইনার ইসলামি ফ্যাশনের চাহিদা বুঝে তৈরি করছেন আধুনিক কিন্তু শালীন পোশাক। ঈদের পোশাক হওয়া উচিত এমন যা একজন মানুষকে বাহ্যিকভাবে আকর্ষণীয় এবং অভ্যন্তরীণভাবে গর্বিত করে তোলে—যেখানে শালীনতা, সংস্কৃতি এবং স্টাইলের ভারসাম্য বজায় থাকে।