ঢাকা, ৩১ মে ২০২৫ — বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক ও বেসামরিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “স্টারলিংককে আনা হয়েছে আরাকান আর্মির জন্য। যে করিডরের কথা বলা হচ্ছে, তা দিয়ে আরাকান আর্মির মাল মশলা যাবে।”
এ বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক, প্রযুক্তিবিদ ও সচেতন নাগরিকরা বলছেন, এমন দায়িত্বহীন ও ভিত্তিহীন মন্তব্য জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক কূটনীতিক সম্পর্ককে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
বিশ্লেষকরা জানান, স্টারলিংক একটি বৈশ্বিক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা যা দূরবর্তী ও ইন্টারনেট-বঞ্চিত অঞ্চলে সংযোগ প্রদান করে। এর সাথে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর যোগসূত্র প্রমাণ ছাড়াই এমন অভিযোগ করা রাজনৈতিক অপচেষ্টার শামিল।
সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, একজন সিনিয়র রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে এ ধরনের মন্তব্য কতটা গ্রহণযোগ্য। কেউ কেউ একে “জনগণকে ভুল তথ্য দিয়ে উত্তেজিত করার অপচেষ্টা” বলেও অভিহিত করেছেন।
আলোচিত সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার নয়াপল্টনে, বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে। বক্তব্যের পর পরই মিডিয়ায় এবং অনলাইনে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে।
জনগণের একাংশ মনে করেন, এ ধরনের বক্তব্য দেশের প্রযুক্তিগত অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সরকারের উন্নয়নমূলক উদ্যোগ নিয়ে সন্দেহের বীজ বপন করে।
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সমালোচনা গণতান্ত্রিক অধিকার হলেও, প্রযুক্তিগত ও নিরাপত্তা ইস্যুতে দায়িত্বশীলতা বজায় রাখা একজন জাতীয় নেতার নৈতিক দায়িত্ব। বিভ্রান্তিকর মন্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সচেতন সমাজ।