মনোবিজ্ঞানী ডা. সোহানা আক্তার বলেন, “হাসি মস্তিষ্কে ‘এন্ডোরফিন’ নামক হরমোন নিঃসৃত করে, যা ব্যথা কমায়, মানসিক চাপ দূর করে এবং শরীরকে শক্তিশালী রাখে। হাসি শুধু মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য নয়, এটি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও বাড়ায়।”
দৈনন্দিন জীবনের উদাহরণ দিয়ে জোনো সূত্রসুরি বোঝাচ্ছেন, “যখন মানুষ কাজের মাঝে হঠাৎ করে হাসে বা বন্ধুদের সঙ্গে মজার মুহূর্ত ভাগ করে, তখন শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, হৃৎস্পন্দন ঠিক রাখে এবং মস্তিষ্কে সুখের অনুভূতি তৈরি করে। এমনকি ছোট শিশুরা হাসি ছড়ালে পরিবারের সবাই মানসিকভাবে শান্ত হয়।”
গবেষকরা আরও উল্লেখ করেন, প্রতিদিন অন্তত ৫–১০ মিনিট হেসে কাটানো মানুষকে দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগ, স্ট্রেস এবং অবসাদ থেকে রক্ষা করে। হাসি শুধু ব্যক্তিগত সুখই বৃদ্ধি করে না, এটি সামাজিক সম্পর্কও শক্ত করে।আপনি যদি সত্যিই সুস্থ ও খুশি থাকতে চান, দৈনন্দিন জীবনে হাসিকে অঙ্গীকার করুন। ছোট্ট হাসি, ছোট্ট আনন্দ—এই দুইই আপনার শরীর ও মনের জন্য অদ্ভুতভাবে কার্যকর।